শাশ্বত বাংলা ও রংপুরের ঐতিহ্য ২
শাশ্বত বাংলার সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নির্দশন ও স্মারকচিহ্নসমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রর্দশনের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় রংপুর সেনানিবাসের উদ্যোগে,রংপুরে ৩১ জানুয়ারী ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর "শ্বাশত বাংলা"। এ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ,মানচিত্র,দুর্লভ আলোকচিত্র, সে সময় প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্টার,পত্র-পত্রিকা,পুস্তক ও অন্যান্য দস্তাবেজ প্রর্দশিত হচ্ছে।
জাদুঘরে প্রবেশ মুখে প্রাচীরের বামপাশে বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, সাতই মার্চের ভাষণ, জাতির জনকের স্বাধীনতা ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীর বর্বরতা, ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সচিত্র বর্ণনা।
জাদুঘরের সীমানা প্রাচীরের ডান দিকের অংশে মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক চিত্রগুলোর মধ্যে উঠে এসেছে রংপুরের মুক্তিযুদ্ধ। এখানে রয়েছে রংপুরের বিভিন্ন বধ্যভূমি, গণকবর, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকদের পরিচয়, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা।
জাদুঘরের দুই তলা বিশিষ্ট ভবনটির নীচ তলায় বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার, যুদ্ধের এগারোটি সেক্টর, গণআন্দোলন, সংগ্রাম ও যুদ্ধ, নির্যাতন ও ধ্বংস, গণহত্যা, রংপুরের মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় এর গল্প।
দ্বিতীয় তলার দুটি কক্ষে সাজিয়ে রাখা হয়েছে পাকিস্তান বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অস্ত্র এবং ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি। যার মধ্যে চিলমারীর রয়্যাল হিলি কার্জনিয়া যুদ্ধে পাক সেনাদের ব্যবহৃত এসএমজি ছাড়াও রয়েছে এলএমজি, পিস্তল, মর্টার।
রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক সম্পাদিত 'দৈনিক অগ্রদূত' ছাপার সাইক্লোস্টাইল মেশিন। মুক্তি যুদ্ধের নারী সংগঠক রেজিয়া বেগমের স্বাধীন বাংলার পতাকা তৈরির সেলাই মেশিন।
এছাড়াও যাদুঘর ভবনের পেছনের দিকের কোণার মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তমঞ্চ। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে রংপুর চারুপাঠ একাডেমি। যেখানে শিশুদের ছবি আঁকা, সংগীত, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা, নৃত্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
বায়ান্ন থেকে একাত্তরের পেক্ষাপটঃ
ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রথম শহীদ মিনার তৈরীর চেষ্টা।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী, ভাষা আন্দোলনের সময়
১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্থানের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ২১ দফা কর্মসূচি নিয়ে মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদী ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন।
৬ দফা দাবী নামা ঘোষণার পর একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয় শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে। এমনি একটি মামলার সময় ঢাকার আদালত প্রঙ্গণে শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৬৯ সালের গন অভ্যূত্থান এর সময় মিছিলে রাজপথে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন মতিউর রহমান মল্লিক।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দিচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ।
গেলেন রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে ফিরে এলেন রাষ্ট্রপতি হয়ে। ১৯৭২ সালে ১০ই ডিসেম্বর বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের একটি চিত্র।
১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকা স্টুডিয়ামের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট অস্ত্র সমর্পণ করেন সেক্টর কমান্ডার শেখ ফজলুল হক মনি ও তোফায়েল আহমেদ।
জাদুঘরের বর্ণনাঃ
দোতলা বিশিষ্ট ভবনের নিচতলার প্রথম রুমের বর্ণনা-
পশ্চিম দিকে মুজিবনগর সরকার গঠন, মুজিবনগর সরকারের সনদ, জাতির জনক ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শনী ও নিচে বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত পতাকা।
মুজিবনগর সরকার গঠন-
স্থাপিত- ১০ই এপ্রিল ১৯৭১
শপথ গ্রহণ- ১৭ ই এপ্রিল ১৯৭১
অস্থায়ী সচিবালয়- মুজিবনগর
ক্যাম্প অফিস- ৮, থিয়েটার রোড কলকাতা
রাষ্ট্রপতি- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (পাকিস্তানে বন্দিরত)
উপরাষ্ট্রপতি- সৈয়দ নজরুল ইসলাম (রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন)
প্রধানমন্ত্রী- তাজউদ্দীন আহমদ
পররাষ্ট্র ও আইন বিষয়ক মন্ত্রী- খন্দকার মোশতাক আহমেদ
অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, বাণিজ্য ও শিল্প, পরিবহণ বিষয়ক মন্ত্রী- এম মনসুর আলী।
বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নির্দশন ও স্মারকচিহ্নসমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রর্দশনের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় রংপুর সেনানিবাসের উদ্যোগে,রংপুরে ৩১ জানুয়ারী ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর "শ্বাশত বাংলা"। এ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ,মানচিত্র,দুর্লভ আলোকচিত্র, সে সময় প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্টার,পত্র-পত্রিকা,পুস্তক ও অন্যান্য দস্তাবেজ প্রর্দশিত হচ্ছে।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন এর চিত্র। |
জাদুঘরে প্রবেশ মুখে প্রাচীরের বামপাশে বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, সাতই মার্চের ভাষণ, জাতির জনকের স্বাধীনতা ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীর বর্বরতা, ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সচিত্র বর্ণনা।
জাদুঘরের সীমানা প্রাচীরের ডান দিকের অংশে মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক চিত্রগুলোর মধ্যে উঠে এসেছে রংপুরের মুক্তিযুদ্ধ। এখানে রয়েছে রংপুরের বিভিন্ন বধ্যভূমি, গণকবর, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকদের পরিচয়, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা।
জাদুঘরের দুই তলা বিশিষ্ট ভবনটির নীচ তলায় বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার, যুদ্ধের এগারোটি সেক্টর, গণআন্দোলন, সংগ্রাম ও যুদ্ধ, নির্যাতন ও ধ্বংস, গণহত্যা, রংপুরের মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় এর গল্প।
দ্বিতীয় তলার দুটি কক্ষে সাজিয়ে রাখা হয়েছে পাকিস্তান বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অস্ত্র এবং ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি। যার মধ্যে চিলমারীর রয়্যাল হিলি কার্জনিয়া যুদ্ধে পাক সেনাদের ব্যবহৃত এসএমজি ছাড়াও রয়েছে এলএমজি, পিস্তল, মর্টার।
রয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক সম্পাদিত 'দৈনিক অগ্রদূত' ছাপার সাইক্লোস্টাইল মেশিন। মুক্তি যুদ্ধের নারী সংগঠক রেজিয়া বেগমের স্বাধীন বাংলার পতাকা তৈরির সেলাই মেশিন।
এছাড়াও যাদুঘর ভবনের পেছনের দিকের কোণার মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তমঞ্চ। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে রংপুর চারুপাঠ একাডেমি। যেখানে শিশুদের ছবি আঁকা, সংগীত, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা, নৃত্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
বায়ান্ন থেকে একাত্তরের পেক্ষাপটঃ
ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রথম শহীদ মিনার তৈরীর চেষ্টা।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী, ভাষা আন্দোলনের সময়
১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্থানের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ২১ দফা কর্মসূচি নিয়ে মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদী ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন।
৬ দফা দাবী নামা ঘোষণার পর একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয় শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে। এমনি একটি মামলার সময় ঢাকার আদালত প্রঙ্গণে শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৬৯ সালের গন অভ্যূত্থান এর সময় মিছিলে রাজপথে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন মতিউর রহমান মল্লিক।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দিচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ।
গেলেন রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে ফিরে এলেন রাষ্ট্রপতি হয়ে। ১৯৭২ সালে ১০ই ডিসেম্বর বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের একটি চিত্র।
১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকা স্টুডিয়ামের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট অস্ত্র সমর্পণ করেন সেক্টর কমান্ডার শেখ ফজলুল হক মনি ও তোফায়েল আহমেদ।
জাদুঘরের বর্ণনাঃ
দোতলা বিশিষ্ট ভবনের নিচতলার প্রথম রুমের বর্ণনা-
পশ্চিম দিকে মুজিবনগর সরকার গঠন, মুজিবনগর সরকারের সনদ, জাতির জনক ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শনী ও নিচে বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত পতাকা।
মুজিবনগর সরকার গঠন-
স্থাপিত- ১০ই এপ্রিল ১৯৭১
শপথ গ্রহণ- ১৭ ই এপ্রিল ১৯৭১
অস্থায়ী সচিবালয়- মুজিবনগর
ক্যাম্প অফিস- ৮, থিয়েটার রোড কলকাতা
রাষ্ট্রপতি- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (পাকিস্তানে বন্দিরত)
উপরাষ্ট্রপতি- সৈয়দ নজরুল ইসলাম (রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন)
প্রধানমন্ত্রী- তাজউদ্দীন আহমদ
পররাষ্ট্র ও আইন বিষয়ক মন্ত্রী- খন্দকার মোশতাক আহমেদ
অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, বাণিজ্য ও শিল্প, পরিবহণ বিষয়ক মন্ত্রী- এম মনসুর আলী।
No comments
Thanks for your Comment