বাংলা সাহিত্যে নিয়ে আমার ভাবনা
বাংলাদেশে সাহিত্য জগতে ফেমাস হতে চাইলে লুইচ্চা হতে হয়, আমি পারুম না, আমি সখের কবি সৌখিন টাই থাক। আমাকে নিয়ে ঐ জগতে আর টানা টানি করিস না। আমি যে অতটা লুইচ্চা হতে পারুম না।
প্রেম ভালোবাসা আর প্রকৃতি নিয়ে আমার লেখা কবিতাগুলো, এগুলো যে এখন বাজারে চলে না। জীবনানন্দ দাশ, জসীম উদ্দীন এরা তো বিশ শতকের কবি। একুশ শতকে ততারা অচল। তাদের মত, তাদের ফলো করে কোন লাভ নেই। এখন প্রকৃতি বা প্রেম নয়! এখন নারী, নগ্নতা, কাম বাসনা এগুলো লিখতে হবে।
বাংলা সাহিত্যকে ধর্ষন করতে হবে। পাঠকের শরীরের লোম যদি কাম ভাবে শিহরিত না হয় তাহলে তুমি কবি নও। তুমি সাহিত্যিক হতে পারবে না। যাদের প্রতিটি লাইনে, প্রতিটি প্যারায় প্যারায় নীল ছবির চিত্র ভাসে। যারা কথায় কথায় বেশ্যা খদ্দের এর পরিচয় দিতে পারে তারাই বড় সাহিত্যিক।
কবিতার ভাষা হওয়া চাই দূঃসাহসিক, বৈপ্লবিক, বিদ্রোহী কিংবা সোনালী ইতিহাস। কবিতা হোক প্রেরনা, সত্যকে জানা সুন্দরকে ভালোবাসার। কবিতা হোক প্রতিটি ভাই বোনের ভালোবাসার মধুর চিত্র অথবা দুখিনি মায়ের কষ্টের প্রতিচ্ছবি। নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, ফররুখ, জসীম উদ্দিন, যারা লিখেছেন,,,, একেকটা ইতিহাস। একেকেটা প্রেরনা, একেকটা শৈল্পিক চিত্র, তুলির পরশে নয়, ছন্দের ছোয়ায়, কাব্যের ভাষায় গদ্যের প্যারায়।
আজ একটা কথা খুব বেশি মনে পড়ছে। বেরোবি তে যখন ভর্তির জন্য ভাইভা (চয়েজ ফরম পুরন) দিতে এসেছিলাম। বাংলা ডিপার্টমেন্ট এর এক স্যার আমার কাগজ দেখছিলেন আর বলছিলেন তুমি ভালো ছেলে বাংলা পড়তে চাও কেন? আমি বাংলা ফার্স্ট চয়েজ দিয়েছিলাম।
-আমি বললাম বাংলা আমার ভালো লাগে।
-তুমি জান না যারা বাংলা পড়ে তারা নাস্তিক হয়, খারাপ হয়।
-স্যার সবাই যদি নাস্তিক হয় তো আস্তিক দের ও তো বাংলা সাহিত্য জগত টারে ধরতে হবে।
তাছাড়া সব সাহিত্যিক রা তো নাস্তিক নয় স্যার, যেমন, ফররুক আহমেদ, আহসান হাবীব, নজরুল ইসলাম, আল মাহমুূদ।
আমি এদের মত হতে চেয়েছি, হতে পারব কিনা জানি না। কিন্তু তোমাকে সাহিত্যে পরিচিত হতে চাইলে লুইচ্চা হতে হবে। নতুবা তোমার বই প্রকাশ হবে না, প্রকাশ হলে কেউ কিনবে না, পড়বে না।
তার চেয়ে বরং ফেসবুকে লিখে যাই, ফেসবুকেই থাক, কোন কালে যদি চেঞ্জ হয় তো আমার উত্তরের কেউ ছাপিয়ে দিস,, মোর লেখা গুলো।
No comments
Thanks for your Comment